সাধের_সংসার পর্বঃ ১৫
রাহাদ এভাবে বোবার মত রিপার দিকে তাকিয়ে আছে দেখে।
রিপা হালকা ধাক্কা দিলো রাহাদ কে। রাহাদের হুশ ফিরলে নিজে কে কিছুটা সামলে নিলো। রাহাদ এমন ভাব করেছে দেখে মনে হচ্ছে রাহাদের সদ্য হওয়া প্রেম টা ভেঙ্গে গেছে।
রিপাঃ কি হলো এভাবে চুপ করে আছো কেনো।
রাহাদঃ আমার তো কথা বলার মুখটাই বন্ধ করে দিলে। তোমাকে ভালো লাগেই বলে তো এসব বললাম তোমাকে। আর সেই তুমি কি না বলতেছো তুমি বিবাহিত বাচ্চা আছে।
রিপাঃ মিথ্যা কোথায় বললাম আর আমি তোমাকে ঠিক ওভাবে বলতে চাই নি। তাছাড়া তুমি তো বললে তুমি আর আমি বন্ধু।
রাহাদঃ আমি সব বুঝি আমাকে তোমার বলতে হবে না। এখনও তো আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আছো নিজেই দেখো তো তোমাকে বাচ্চার মা বুঝাচ্ছে আর তোমার বিয়ে হয়েছে। আমার চোখে তুমি এখনও কুমারী এখনও সদ্য ফোটা গোলাপ ফুল।
রিপাঃ কি চাও আমার কাছে সেটা বল তো রাহাদ তুমি।
রাহাদঃ আমার কোন খারাপ ইচ্ছে চাহিদা নেই। আমি জীবনে কারো সাথে প্রেম করি নাই কারো প্রেমেও পরি নাই। জীবনে ইচ্ছে ছিলো কারো প্রেমেও পরবো না। কিন্তু তোমাকে দেখে আর চুপ থাকতে পারলাম না নিজের মনের কথাটা বলে দিলাম। তোমাকে আমার খুব পছন্দ তোমাকে আমার ভালো লাগে। তোমার মত এত সুন্দরী কাউকে দেখি নাই।
রিপাঃ সেটা না হয় বুঝলাম প্রেম করো নাই প্রেমে পরো নাই। আর এটাও জানি আমি সুন্দর বলো আমাকে কি করতে হবে।
রাহাদঃ তুমি তো বিবাহিত বাচ্চা আছে এটা মনে করো তাই এটা যেমন আমার শুনতে ভালো লাগে না। তেমনি আমি চাই তোমার সাথে একটু প্রেম করে দেখি।
রিপাঃ এটা কি করে সম্ভব তুমি বলো, সব সত্যি কি মিথ্যা করা যাবে বলো তুমি।।
রাহাদঃ হ্যাঁ যাবে না কিন্তু তুমি তো প্রথমে আমার বন্ধু সেই বন্ধুত্ব থেকে একটু প্রেম করি। তোমাকে তো আর তুলে নিতেছি না। আমারও প্রেম করার ইচ্ছে টা মিটবে আর তোমারও আকাশে মুক্ত হয়ে উগড়ে বাঁধা থাকবে না এক ঢিলে দুই পাখি মারা হলো।
রিপাঃ না না পারবো না আমি এসব আমাকে দিয়ে হবে না। এমনি বন্ধু আছি বন্ধু থাকি না যদি ওসব প্রেম করি পরে সমস্যা হবে।
রাহাদঃ আচ্ছা ঠিক আছে, কিন্তু বন্ধুত্বের একটা অধিকার তো আছে নাকি?
রিপাঃ হ্যাঁ আছে বন্ধুত্বের অধিকার।
রাহাদঃ তাহলে আমি আর বেশি কিছু চাই না শুধু এতটুকু চাই আমার কোন কথায় না করতে পারবে না।
রিপাঃ আচ্ছা ঠিক আছে না করবো না কিন্তু আমার কথাও শুনতে হবে।
রাহাদঃ অবশ্যই শুনবো ( রাহাদ হাটু গেড়ে বসলো) এবার তোমার ডান পা টা রাখো তো।
রিপা এবার ডান পা টা রাহাদের পায়ের উপর রাখলো। রাহাদ পকেট থেকে রুপার নূপুর বের করে পড়ালো। তারপর বাম পা টা দিলো বাম পা টা রাহাদের পায়ের উপর রাখলো এবার বাম পায়ে রুপার আর একটা নূপুর পরিয়ে দিলো।
রাহাদঃ এবার একটু হাটো তো দেখি।
রিপা রুমের চারদিকে হাটতে লাগলো রাহাদ রিপার দিকে দেখতে লাগলো। রিপা কে আজ অনেক সেক্সি মনে হচ্ছে রাহাদের কাছে। রাহাদের একটার পর একটা চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যাচ্ছে।
রিপাঃ আর এভাবে দেখতে হবে না অনেক তো দেখলে।
রাহাদঃ তোমার কাছ থেকে দূরে যেতে মন চাচ্ছে না। মন চায় সব সময় তোমার আশেপাশে থাকি। একটা কথা রাখবে আমার।
রিপাঃ বলো আর কি কথা রাখতে হবে।
রাহাদঃ তোমাকে একবার জরিয়ে ধরতে চাই আমি।
রিপাঃ আজ হবে না অন্য দিন এখন তুমি অন্য রকম হয়ে আছো। পরে একদিন আমি জরিয়ে ধরবো।
এর মাঝে হঠাৎ বাইরে থেকে অপরিচিত একজন লোক ডাক দিতে লাগলো ভাবি বলে। রিপা খুব ভয় পেয়ে গেলো। কারন তার রুমে রাহাদ আছে আর রিপা এমন পোশাক পরে আছে যা অন্য মানুষ দেখলে খারাপ ভাববে আর সম্মান যাবে। তাছাড়া রুমের দর্জাো খোলা আছে এখন যদি হুট করে ঢুকে। রিপা দ্রুত রাহাদ কে বিছানায় শুয়ে দিয়ে একটা কাঁতা রাহাদের গায়ের উপর দিলো। রিপাও দ্রুত বিছানায় শুয়ে পরে কাঁতা গায়ের উপর দিয়ে রাহাদ কে জরিয়ে ধরলো। এমন ভাবে জরিয়ে ধরলো মনে হবে কোন কোলবালিশ জরিয়ে ধরে আছে। লোকটা দর্জা খোলা দেখে দর্জার কাছে এসে।
কাজের লোকঃ ভাবি কি ঘরের ভিতরে আছেন চাচা খাবার নিতে পাঠিয়ে দিলো।
রিপাঃ হ্যাঁ রুমেই আছি শুয়ে আমি।
কাজের লোকঃ ভাবির কি কোন সমস্যা নাকি নাকি অবেলায় শুয়ে আছেন যে( একটু ভিতরে ঢুকে)
রিপাঃ আসলে হঠাৎ কাজ করতে করতে মাথা টা ধরেছে আর শরীরে একটু জ্বর জ্বর ভাব তাই শুয়ে আছি।
কাজের লোকঃ তাহলে চাচা যে খাবার নিতে পাঠালো এখন কি চলে যাবো।
রিপাঃ না না খালি হাতে যাবেন না।
যদি কিছু মনে না করেন রান্না ঘরে খাবার সাজিয়ে রেখে দিছি যদি নিয়ে যেতেন।
সুস্থ থাকলে উঠে আমি দিতাম।
কাজের লোকঃ না না ভাবি উঠতে হবে না আপনি বরং শুয়ে থাকুন আমি নিয়ে যাচ্ছি।
রিপাঃ ভাই মনে কিছু নিয়েন না আমি দিতে পারলাম ন্ নিজে।
আর আমার অসুস্থতার কথা আপনার চাচা আর ভাইকে বলার দরকার নাই।
তাহলে কাজ ফেলে তারা চলে আসবে।
কাজের লোকঃ মনে নেওয়ার কি আছে ভাবি,
আপনারা তো আমাদের এলাকার বাড়ির মানুষ। যদি না বলি আর আপনার অসুস্থতা বেড়ে যায় তখন।
রিপাঃ ঘরে ঔষুধ ছিলো খেয়ে দিয়েছি একটু পর ঠিক হয়ে যাবে।
আপনি বরং খাবার নিয়ে যান সবাই অপেক্ষা করতেছে।
কাজের লোকঃ আচ্ছা ভাবি ঠিক আছে বলবো না আর এক্ষুনি যাচ্ছি আপনি শুয়ে থাকুন।
ও হ্যাঁ ভাবি ভাইজান জিজ্ঞেস করেছে নুসরাত চাচ্চু কে পড়ানোর জন্য তার স্যার এসেছে কি না।
রিপাঃ হ্যাঁ এসেছে নুসরাত কে পড়াচ্ছে এখন। ওদিকে যাওয়ার দরকার নাই ওদের পড়ার আবার সমস্যা হবে।
কাজের লোকঃ আমি তাহলে খাবার নিয়ে গেলাম ভাবি।
যখন রাহাদ কে রিপা বিছানায় শুয়ে দিয়ে কাঁতা দিয়ে দিলো রাহাদ একটু ভয় পেয়ে গিয়েছিলো।
যখন রিপা নিজেই আবার কাঁতার ভিতরে ঢুকে রাহাদ কে জরিয়ে ধরলো তখন রাহাদ মেঘ না চাইতে বৃষ্টি পেয়ে গেলো। রাহাদও রিপা কে নিজের বুকে খুব শক্ত করে জরিয়ে ধরে রেখেছিলো।
আর বার বার বলছিলো যেনো লোকটা আরো কিছুক্ষণ থাকে বা রুমের একেবারে ভিতরে ঢুকে।
রিপা যখন বিছানায় শুয়ে রাহাদ কে জরিয়ে ধরেছিলো ভয়ের সাথে সাথে মনের ভিতরে তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছিলো। আর তাছাড়া রাহাদ যেভাবে তাকে জরিয়ে ধরে রেখেছিলো এমন করে কখনও ইমরানও তাকে কোনদিন ধরে নাই। রিপা বার বার চাচ্ছিলো কাজের লোকটা দ্রুত চলে যাক কিন্তু না কথার উপর কথা বলেই গেলো। কাজের লোকটা যাওয়ার কিছুক্ষণ পর রিপা রাহাদ কে জোর করে ছাড়িয়ে নিয়ে বিছানা থেকে উঠলো।
রিপাঃ জলদি ওঠো আর দেরি করো না, আবার কেউ আসলে সমস্যা হবে। খুব বড় বাঁচা বেঁচে গেছি আর একটু হলে ধরা পরে যেতাম।
রাহাদঃ আরে এত ভয় করতেছো কেনো রিপা। আমরা তো আর খারাপ কিছু করি নাই( বিছানা থেকে উঠে দর্জা দিলো)
রিপাঃ একি তুমি আবার দর্জা দিলে কেনো? আমার কিন্তু ভয় হচ্ছে খুব।
রাহাদঃ দর্জা দেওয়া থাকলে এখন আর হুট করে কেউ আসবে না। আর তোমার কাছ থেকে এখন আর যেতেই মন চাচ্ছে না।
রিপাঃ কেনো যেতে মন চাচ্ছে না শুনি।
রাহাদঃ উফ কি ভাবে না কাঁতা নিচে আমাকে জরিয়ে ধরেছিলে। মন তো চাচ্ছিলো আরো কিছু সময় ওভাবে তোমাকে জরিয়ে ধরে থাকতে।
রিপাঃ হুমম সখ দেখে তার বাঁচি না, যাইহোক জরিয়ে ধরতে চেয়েছিলে সেটা যেভাবে হোক পূরণ তো হলো। এবার যাও তাছাড়া অনেকক্ষণ হলো এসেছো নুসরাত একাই আছে কিন্তু।
রাহাদঃ আরে বাবা যাচ্ছি যাচ্ছি এত তারা দিতেছো কেনো। এখন বলতো তোমার জন্মদিন কবে।
রিপাঃ হঠাৎ আমার জন্মদিন নিয়ে কথা বলতেছো কেনো?
রাহাদঃ আরে বাবা বলোই না, আর বন্ধু হই তোমার কম বেশি তোমার অনেক বিষয় জানার তো দরকার আছে আমার।
রিপাঃ এই তো আর এক সপ্তাহ পর আমার জন্মদিন। এবার বল তো কেনো জিজ্ঞেস করলে।
রাহাদঃ না এমনি জেনে নিলাম আর কি, কালকে সময় মত সকালে নুসরাত কে নিয়ে স্কুলে এসো। বাইকে অনেক জায়গায় ঘুরবো ঠিক আছে।
রিপাঃ আচ্ছা ঠিক আছে এবার যাও এখন কেউ আসলে সমস্যা হবে।
রাহাদ দর্জা খুলে সোজা পড়ার রুমে চলে গেলো। রিপা এবার দ্রুত স্কার্ট খুলে একটা শাড়ি পড়ে নিলো। রাহাদ নুসরাতের অংক গুলো দেখলো আরো পড়াতে লাগলো। পড়ানো শেষ হলে রাহাদ চলে গেলো। রিপা রাতের জন্য রান্না বসালো। এর মাঝে ঈশিতা বাড়ি চলে আসলো, ঈশিতা আসার কিছুক্ষণ পর ইমরান আর তার বাবা আসলো। সবাই ফ্রেশ হলো যে যার কাজ শেষ করে বারান্দায় বসলো।
ঈশিতাঃ ভাবি তোমার মোবাইল টা তো দেখি আমার টার চেয়ে দামি।
রিপাঃ হ্যাঁ তোমার থেকে একটু দামি, আমি কিছু টাকা জমিয়েছিলাম সেই টাকা লাগিয়ে নিয়েছি।
ঈশিতাঃ তোমার মোবাইল টাও দেখতে অনেক সুন্দর।
রিপাঃ তোমার মোবাইল টাও দেখতে অনেক সুন্দর আছে।
ইমরানের আব্বাঃ তাহলে আর কারো কোন কিছু লাগবে, যদি লাগে বলতে পারো।
নুসরাতঃ দাদু দাদু সবার বাড়িতে টিভি আছে আমাদের বাড়িতে টিভি নাই। সবাই টিভিতে কার্টুন দেখে আমিও কার্টুন দেখবো একটা টিভি নাও না।
ইমরানঃ আব্বা আসলেই তো বাড়িতে সব কিছু আছে একটা টিভি নাই। টিভি থাকলে তোমাকেও আর বাইরে গিয়ে বাজারে গিয়ে খবর দেখা লাগবে না।
রিপাঃ হ্যাঁ আব্বা তাছাড়া সন্ধ্যার পর সবাই তো এমনি বসে থাকি। টিভি থাকলে একটু টিভি দেখে সময় কাটানো যেতো।
ঈশিতাঃ ভাবি এখন তো আমাদের মোবাইল হয়ে গেছে সময় কেমন করে চলে যাবে টেরই পাবো না।
রিপাঃ আমাদের না হয় সময় কাটবে আব্বা আর তোমার দাদা ভাইয়ের সময় তো কাটবে না।
ঈশিতাঃ এটাও তো একটা চিন্তার কথা আচ্ছা আব্বা একটা টিভি নাও তোমরা। তুমিও তো বাইরে দোকানে গিয়ে টিভি দেখো।
নুসরাতঃ দাদু ভাই আমিও টিভিতে কার্টুন দেখতে পারবো।
ইমরানের আব্বাঃ আচ্ছা ঠিক আছে আমি এক্ষুনি বাজারে গিয়ে টিভি কিনে আনতেছি। কিন্তু আমার শর্ত আছে একটা।
ইমরানঃ কি শর্ত আব্বা।
ইমরানের আব্বাঃ ঈশিতা নুসরাত যখন পড়া শেষ করবে তখন তারা টিভি দেখবে। পড়াশোনা খাওয়া বাদ দিয়ে কেউ টিভি দেখতে পারবে না।
সবাইঃ আমরা সবাই রাজি আছি।
ইমরানের আব্বা টিভি কিনে আনার জন্য তাদের বাজারের শো রুমে গেলো। ঈশিতা আর নুসরাত মোবাইলে গেম খেলতে লাগলো। ইমরান গরু গুলো খাবার আর পানি দিতে গেলো। রিপা এই ফাঁকে রাহাদের সাথে ভিডিও কলে কথা বলতে লাগলো।
এভাবে দিন যেতে লাগলো, রিপা বাড়ির সব কাজ শেরে নুসরাত কে নিয়ে স্কুলে যায় আর রাহাদের সাথে অনেক জায়গায় ঘুরে খাওয়া করে। আর রাহাদ যা যা কিনে দেয় রিপা তা তা পরে রাহাদ কে দেখায়। রাহাদ আর রিপার ব্যপার টা এখনও কারো নজরে আসে নাই৷ আর আসবেই বা কি করে রিপা তো কাউকে বুঝতে দেয় না। রাহাদের বাইকে কারে কত জায়গায় ঘুরে রিপা আর রাহাদ। এরকম জীবন উপভোগ করতে পেরে রিপা ভিশন খুশি। আজ প্রায় এক সপ্তাহ কেটে গেলো এমন করে।
রাহাদঃ দ্রুত বাইকে উঠো এক জায়গায় তোমাকে নিয়ে যেতে হবে আমার।
রিপাঃ আজকে আবার আমাকে নিয়ে কোথায় যাবে শুনি।
রাহাদঃ বাইকে উঠো আগে আর গেলেই বুঝতে পারবে সব।
রিপাও কথা না বলে বাইকে উঠলো। রাহাদ আজ একটু স্পিডে বাইক চালিয়ে যাচ্ছে। আজকে অবশ্য রিপা রাহাদ কে জরিয়ে ধরে আছে। একটু পর তারা একটা কমিউনিটি সেন্টারে আসলো। রাহাদ আগেই একটা রুম ভাড়া করে রেখেছে। আজকে তো রিপার জন্মদিন তাই রাহাদ আগে থেকেই লোক দিয়ে রুমটা সাজিয়ে রেখেছে। রুমের মাঝখানে একটা টেবিলে সুন্দর করে জন্মদিনের কেক রাখা আছে। রিপা তো ভিতরে ঢুকে অবাক হয়ে গেলো।
রিপাঃ তাহলে এই ছিলো তোমার মনে আমি ভাবতেও পারি নাই তুমি আমার জন্মদিনের আয়োজন করবে। আমার জীবনেও কেউ আমার জন্মদিনের আয়োজন করে নাই এমন কি আমার বাবা মা কেউ না।
রাহাদঃ শুভ জন্ম যদি রিপা এগিয়ে এসো কেক কাটবে। আমার বন্ধু তুমি আর আমি কি এতসব ভুলে যেতে পারি। তোমাকে কথা দিয়েছি না তোমার জীবন কে নতুন করে সাজিয়ে দিবো। এসব আয়োজন তোমার পছন্দ হয়েছে তো।
রিপাঃ তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ রাহাদ আজকে এত সুন্দর একটা দিন আমাকে উপহার দেওয়ার জন্য।
রাহাদঃ আমাকে আর ধন্যবাদ দিতে হবে না, এবার আসো কেকটা কাটো।
রাহাদ একটা কেক কাটা ছুরি দিলো রিপার হাতে। একটা মোমবাতি জ্বালিয়ে দিলো, তাপর রিপা রাহাদ দুজনে ফু দিয়ে মোমবাতি নিভিয়ে দুজনে একসাথে কেক কাটলো। প্রথমে রাহাদ রিপা কে খাওয়ালো তারপর রিপা রাহাদ কে খাওয়ালো। রাহাদ একটু কেক নিয়ে রিপার বুকের একটু উপরে লাগিয়ে দিলো।
রিপাঃ এটা কি করলে কেকটা এখানে কেনো লাগিয়ে দিলে।
রাহাদঃ মুখে বা গালে দিলে কি ওই অবস্থায় যেতে পারতে। তাছাড়া বাড়ি গিয়ে কি বলতে সবাইকে তুমি।
রিপাঃ তোমার বুদ্ধির তারিফ করতেই হবে। বলো কি চাও আমার কাছে তুমি আজ। যা চাইবে তাই দিবো তোমাকে আমি।
রাহাদঃ ভেবে বলতেছো তুমি রিপা, যা চাইবো তাই দিবে।
রিপাঃ সত্যি দিবো বলো কি চাও তুমি।
রাহাদঃ আমি তোমার ভালোবাসা চাই বাসবে আমাকে ভালো তুমি।
রিপাঃ রাহাদ এসব হবে না আগেই বলেছি খারাপ ইচ্ছে চাহিদা প্রেম ভালোবাসা অসম্ভব আমার পক্ষে। অন্য কিছু চাও তাই দিবো আমি কিন্তু ভালোবাসার কথা বলো না।
রাহাদঃ আমি তো কোন খারাপ ইচ্ছে চাহিদার কথা বলি নাই। শুধু ভালোবাসা চেয়েছি এটা খারাপ ইচ্ছে চাহিদা হলো।
রিপাঃ আমার জায়গায় অন্য মেয়ে থাকলে কবেই তোমার প্রেমে পরে যেতো। কিংবা আমার বিয়ে না হলে আমি রাজি হতাম। আমার সংসার আছে রাহাদ আমার পক্ষে সম্ভব না।
রাহাদঃ চাইলেই কিন্তু সম্ভব হয় রিপা, আর কাউকে জানাবো না। প্লিজ এভাবে ফিরিয়ে দিও না আমাকে।
রিপাঃ অনেক দেরি হয়ে গেছে রাহাদ এবার আমাদের ফিরে যাওয়া উচিত।( কথা ঘুরালো)
রাহাদঃ ঠিক আছে চলো আর কখনও বলবো না তোমাকে। যেদিন মন থেকে আমাকে উপলব্ধি করতে পারবে ভালোবাসতে পারবে সেদিন আমি থাকবো তোমার সাথে। চলো যাই আসলেই দেরি হয়ে গেছে।
রিপা মনে মনে ভাবতেছে কেনো যে আগেই বিয়ে টা করলাম। রাহাদ এমন ভাবে মন খারাপ করলো এই মুহুর্তে রাহাদের চেয়ে আর কোন দুঃখি কেউ নেই। তবে এত কিছুর পরও রাহাদ মনে মনে হাসতেছে কারন তার কাজ হয়ে গেছে এখন রিপা নিজেই ধরা দিবে তার কাছে।
নোটঃ পরের পর্বে আসল কাহিনি আছে সুতরাং কেউ পরের পর্ব মিস করবেন না।
চলবে...