সাধের সংসার । পর্ব - ০৮
ইমরান মেম্বার আর চেয়ারম্যান সাহেব কে বিদায় জানিয়ে মিষ্টি নিয়ে গ্রামের দিকে রওনা হলো।
গ্রাম ঢুকেই সবাইকে নিজ হাতে মিষ্টি খাওয়াতে লাগলো।
ইমরানের চোখে মুখে যা আনন্দের ছাপ স্পষ্ট সবাই সেটা ভালো করে বুঝতেছে।
ইমরান চাচা বাড়িতে গিয়ে তাদের কেও নিজ হাতে মিষ্টি খাওয়ালো।
বাকি মিষ্টি নিয়ে বাড়ি আসলো।
ইমরানঃ আব্বা ডাক্তার চাচা হা করেন মিষ্টি খাবেন আপনারা।
ইমরানের আব্বাঃ আগে ডাক্তার ভাই কে খাওয়া।
ইমরান মিষ্টি বের করে আগে ডাক্তার চাচা কে খাওয়ালো তারপর তার বাবা কে খাওয়ালো।
এরপর ঈশিতা আর সেই মহিলা কে খাওয়ালো।
ঈশিতাঃ দাদা ভাই ধর এবার তোর মেয়ে কে কোলে নে।(ইমরানের কোলে দিলো)
ডাক্তারঃ বাবা ইমরান এখানে কিছু ঔষুধ লিখে দিলাম।
এই ঔষুধ ফার্মেসি থেকে নিয়ে এসে এক সপ্তাহ বউমা কে খেতে বলিও।
ইমরানঃ চাচা আর কোন কিছু লাগবে কি আনতে।
ডাক্তারঃ প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যা চা করে দিও।
আর শোন সব গরম গরম খাবার খাবে, বেশি বেশি শাক সবজি খাওয়াবে।
দেশি মাছ দেশি মুরগী আর পারলে দেশি মুরগীর ডিম প্রতিদিন রাতে সিদ্ধ করে খাওয়াবে।
বউমার যেনো ঠান্ডা না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখবে কেমন।
এরপর কি হয় না হয় আমাকে খবর দিও।
ইমরানের আব্বাঃ আচ্ছা ভাই তাহলে চলো তোমার বাজারে আমি যাই।
বাচ্চার জন্য কিছু কাপড় তো কিনতে হবে বাজার সদাইও করতে হবে।
আর প্রেসক্রিপশন টা আমাকে দাও ডাক্তার ভাই ঔষুধ গুলোও নিয়ে আসি।
ডাক্তার আর ইমরানের বাবা দুজনে চলে গেলো।
ইমরান তার মেয়ে কে কোলে নিয়ে কথা বলতেছে।
ইমরানের চোখে মুখে সে কি আনন্দ।
ঈশিতা ঘরের ভিতরে গেলো তার ভাবির কাছে।
রিপাঃ ঈশিতা বাবু কে এনে দাও খাওয়াতে হবে।
ঈশিতাঃ ভাবি আর একটু নাকি কাজ বাকি আছে চাচি(মহিলা) বলল
তারপর তোমাকে গা ভিজা কাপড় দিয়ে মুছে দিয়ে বিছানায় দেই তারপর বাবুকে আনতেছি।
রিপাঃ বাবু কি কাঁন্না করতেছে নাকি ঈশিতা।
ঈশিতাঃ কি যে বলো না ভাবি, দাদা ভাই কি তোমার মেয়ে কে কাঁদতে দিবে।
এরপর রিপার বাকি সব কাজ হয়ে গেলে রিপা কে পরিষ্কার বিছানায় শুয়ে দিলো।
ইমরানের বাবাও বাজার থেকে সব কিছু নিয়ে ফিরে আসলো।
কিছুক্ষণ পর ঈশিতা বের হয়ে এসে
ঈশিতাঃ দাদা ভাই ভিতরে যাও ভাবি ডাকতেছে।
মহিলাঃ আগেই যেতে দেবো না ইমরান বাবা আমাকে তো খুশি করাতে হবে নাকি।
ইমরানের আব্বাঃ ভাবি আপনার জন্য শাড়ি এনেছি
সাবান তেল এনেছি আর এই যে ২ হাজার টাকা আমার নাতনীর পক্ষ থেকে ভালোবাসা।
মহিলাঃ দোয়া করি ভাই সারাজীবন সুখে শান্তিতে বাস করো।
ইমরানের আব্বাঃ আমাদের কে দোয়া না করে আমার বনু(নাতনী) টার জন্য দোয়া করেন ভাবি।
মহিলাঃ আল্লাহ আমার নাতনিকে নেক হায়াত দান করুন।
আল্লাহ সদাসর্বদা সুস্থ রাখুক, বড় হয়ে বাবা মায়ের মুখে হাসি ফুটিয়ো বনু(নাতনি)
ইমরানের আব্বাঃ ভাবি যখন সময় পাবেন এসে এসে একটু দেখে যাইয়েন।
মহিলাঃ দাদু মনির মাথার চুল ফেলাতে হবে না, তাছাড়া নাভি টা পড়তে হবে না।
আমি তো আসবো ভাই, আর শোন মেয়ে হয়েছে ইমরানের তাই আকিকা টা ৭ দিনের মধ্যে করে দিও।
ইমরানের আব্বাঃ সেটা নিয়ে চিন্তা করতে হবে না
বাড়িতে গরু ছাগল আছে ইনশাআল্লাহ আকিকা সময় মত করবো।
মহিলা চলে গেলো, ইমরান তার মেয়ে কে নিয়ে ঘরের ভিতরে গেলো।
রিপা বিছানায় শুয়ে আছে। ইমরান এগিয়ে গেলো রিপার কাছে।
রিপাঃ দাও সোনামণি কে আমার কাছে একটু খাওয়াই।
ইমরানঃ এই নাও(রিপাকে দিলো) এখন বলো কেমন আছো তুমি।
তোমার খারাপ লাগতেছে এখনও?
রিপাঃ আমি আমার সোনামণি কে পেয়ে গেছি
আর কোন কষ্ট নাই ব্যথা নাই সব শেষ হয়ে গেছে
আমি এখন ভালো আছি( বাচ্চা কে খাওয়াতে খাওয়াতে বলল)
ইমরানঃ তোমাকে না আমার মন থেকে ধন্যবাদ।
রিপাঃ হঠাৎ ধন্যবাদ কেনো শুনি( অবাক হয়ে)
ইমরানঃ আমার তো মা নেই, আর তুমি আমাকে আমার মা উপহার দিয়েছো সেই জন্য।
রিপাঃ শুকরিয়া আল্লাহর কাছে জানাও আমাকে না।
আচ্ছা আমার বাড়ি খবর দিয়েছো তুমি।
ইমরানঃ ঈশিতাকে তো বলে বাজারে গিয়েছিলাম ঈশিতা কি বলে নাই তোমার বাড়িতে। আমি ঈশিতা কে ডেকে আনতেছি
ঈশিতাঃ আমাকে ডাকতে হবে না দাদা ভাই আমি এসে গেছি। এবার বলো কেনো ডাকতে বের হয়েছিলে।
ইমরানঃ আমার শ্বশুর বাড়িতে জানিয়েছিস তুই।
ঈশিতাঃ তুমি বলার পর পরই বলেছি ফোন করে ওনাদের তো এতক্ষণে আসার কথার।
রিপাঃ তাহলে মনে হয় মা আর আব্বা আসতেছে।
ঈশিতা ইমরান ঘরে আরো কিছুক্ষণ কথা বললো রিপার সাথে।
এর মাঝেই রিপার বাবা মা ভাই ভাবি এসে গেছে। সাথে করে অনেক কিছু নিয়ে এসেছে তারা।
এর আগেও যতবার জামাইর বাড়ি তারা এসেছে ততবারই তারা দুহাত ভরে নিয়ে এসেছে।
তাছাড়া এবার নতুন মেহমান এসেছে তাই
আরো বেশি করে বাজার সদাই বাচ্চার পোশাক
মেয়ের জন্য জামাইর জন্য সবার জন্য অনেক কিছু নিয়ে এসেছে তারা।
রিপার মাঃ কি রে মা এখন ভালো আছিস তো নাকি
দেতো নাতনী কে আমার কোলে( রিপার কাছ থেকে নিলো)
রিপাঃ আমি এখন ঠিক আছি মা তোমরা কেমন আছো?
রিপার মাঃ আমরা ভালো আছি রে মা। আজ থেকে এই এটা ( বাচ্চা টা) আমার বোন।
রিপার আব্বাঃ না না তোমার বোন না আমার বোন। দেখেছো কত সুন্দর হয়েছে আমার বোন টা ঠিক জামাই বাবাজির মত হয়েছে।
রিপার মাঃ ঠিক বলেছো রিপার আব্বা অনেক সুন্দর কিন্তু আমার বোনটা।
রিপার ভাইঃ দাও দাও আমার কোলে দাও। আমার ভাগ্নীকে একবার কোলে নেই। ওরে আমার মামনি টা দেখো মামা এসেছে।
রিপার ভাবিঃ দাও দাও এবার আমার কোলে দাও আমি নেই আমার ভাগ্নীকে কোলে।
সবাই ছোট বাচ্চা টা কে নিয়ে কাড়াকাড়ি লাগিয়ে দিলো। বাড়িটা এবার সত্যি পূর্নতা পেলো।
রিপার মা কিছুদিন এখানে থাকবে। কারন টা সবাই জানেন, দেখাশোনা করার মত তো আর মানুষ তেমন একটা নেই এই বাড়িতে তার জন্য তিনি থাকবেন।
রিপা একটু সুস্থ হলেই রিপার মা চলে যাবেন।
এভাবে দিন যেতে লাগলো, রিপার বাচ্চার আকিকা হলো।
সবাই ছোট মেয়েটা কে নিয়ে আনন্দে দিন পার করতে লাগলো।
রিপা এখন পুরাপুরি সুস্থ রিপা এখন সব কাজ আগের মত করে।
সবার সেবা যত্ন বাড়ি দেখা শোনা সব কিছু।
রিপার সব দিকও খেয়াল রাখে ইমরান।
কোন কিছু জাতে কমতি না থাকে তার জন্য সব রকম কঠোর পরিশ্রম করে ইমরান।
রিপাঃ এখন তো সোনামণি টার ৪ মাস হলো এবার তো সোনামণির একটা নাম রাখো।
এভাবে দু ভাই বোন আর কত মা মা বলে ডাকবে।
ইমরানঃ সেটা তো আমিও ভাবতেছি কি নাম রাখা যায়।
ঈশিতাঃ ভাবি আমি বলি কি আমার মায়ের নামের সাথে মিল রেখে নুসরাত রাখি।
রিপাঃ হ্যাঁ হ্যাঁ এই নাম টা ঠিক আছে।
ইমরানের আব্বাঃ ইমরান যেমন ওর মায়ের মত দেখতে
ঠিক ইমরানের মেয়েটা ইমরানের মত দেখতে হয়েছে।
রিপাঃ ঠিক বলেছেন আব্বা, পুরাপুরি আপনার ছেলের মত দেখতে হয়েছে।
ইমরানঃ কিন্তু চোখ আর নাক টা যে তোমার মত হয়েছে সেটা কি তুমি জানো।
রিপাঃ কৈ আমার মত হয়েছে মিথ্যা বলো কেনো তুমি।
ঈশিতাঃ ভাবি দাদা ভাই ঠিক কথাই বলেছে। আমাদের মায়ের নাম চোখ তোমার মতই হয়েছে।
ইমরানঃ কিন্তু বোনটি তুই তো কারো মত হলি না( সবাই হাসলো)
ঈশিতাঃ দেখলে আব্বা দাদা ভাই কিভাবে আমার সাথে মজা করতেছে।
ইমরানের আব্বাঃ আমার মা টা তো আমার মত দেখতে হয়েছে।
ইমরান হয়েছে ওর মায়ের মত আর তুই হয়েছিস আমার মত।
ঈশিতাঃ ঠিক বলেছো আব্বা, এই জন্য তো তোমার ছেলে একটা ধলা বিলাই।
ইমরানঃ আমি ধলা বিলাই, দাঁড়া তোকে দেখাচ্ছি মজা।
ইমরান ঈশিতা কে দৌড়ানি দিতেছে,
তা দেখে রিপা আর ইমরানের বাবা দুজনে হাসতে হাসতে শেষ।
কতটা খুনসুটির মাঝে তারা আছে।
এত সুখ কি তাদের কপালে সইবে?
যাইকোক এভাবে দিনের পর দিন মাসের পর মাস বছরের পর বছর যেতে লাগলো।
নুসরান এখন ৪ বছরে পা দিয়েছে,
ঈশিতাও এখন কলেজে পড়াশোনা করে।
ইমরানের বাবারও একটু বয়েসের ছাপ হয়েছে।
কিন্তু তবুও সুখের সংসার টা আগের থেকে অনেক ভালো আছে।
নুসরাত জন্মের পর তো এই বাড়িতে আল্লাহর একটা রহমত বেড়ে গেছে।
রিপাঃ দেখেছো মেয়ে টা দেখতে দেখতে বড় হয়ে গেলো।
ইমরানঃ হ্যাঁ মা টা বড় হলো দেখতে দেখতে চার বছর হলো।
কি সুন্দর করে কথা বলে, চার দিকে ছুটে বেড়ায়।
রিপাঃ মেয়ে কে পেয়ে তো আমাকে ভুলে গেলে।
এখন তো আর আমাকে নিয়ে ঘুরতেও যাও না।
ইমরানঃ এখন থেকে মা মেয়ে দুজন কে সময় পেলে সাথে নিয়ে ঘুড়তে যাবো।
তোমাকে ভুলে যাওয়া যায়। মেয়েটা হওয়ার পর তো তুমি আরো বেশি সুন্দর হয়ে গেছো।
রিপাঃ সুন্দর যদি হই তাহলে আদর করো না কেনো আমাকে?
ইমরানঃ ওরে আমার বউ রে কে বলেছে আদর করি না। এই তো আদর করতেছি।
রিপাঃ এই এই কি করতেছো যে কোন সময় মেয়ে চলে আসবে তো।
ইমরানঃ মেয়ে এখন তার ফুফু আর দাদুর কাছে আছে এখন আসবে না চলো ফুটবল খেলি আবারো।
তারপর কি যা হবার হয়ে গেলো। দুজনে সুন্দর ভালোবাসার মাঝে হারিয়ে গেলো।
দিন দিন ইমরান আর রিপার ভালোবাসা বাড়ে কমে না।
দুজন দুজন কে ছাড়া থাকতেও পারে না। দুজনে ফ্রেশ হতে গেলো
নুসরাতঃ দাদু দাদু ও দাদু আমাদের ভাঙ্গা বাড়িটা পাকা করো না কেনো তুমি।
ইমরানের আব্বাঃ কে বলেছে দাদুমনি আমাদের বাড়ি ভাঙ্গা। কত সুন্দর আমাদের বাড়িটা।
নুসরাতঃ না দাদু এটা টিনের ভাঙ্গা বাড়ি তুমি বাড়িটা ঠিক করো পাকা করে দাও।
ঈশিতাঃ ওরে আমার মা টা বাড়ি পাকা করার কথা কে বলেছে মা তোমাকে।
নুসতরাঃ আন্টি আন্টি কেউ বলে নাই বাড়ি টা পাকা হলে ভালো হবে না।
ঈশিতাঃ আব্বা আমার মা টা ঠিকই তো বলেছে আর কত কিপ্টামি করবে তুমি আর দাদা ভাই।
ঈশিতার কথা শুনে ইমরান আর রিপা তাদের কাছে চলে আসলো।
ইমরানঃ কাকে তুই কিপ্টে বললি ঈশিতা।
ঈশিতাঃ কেনো তুমি আর আব্বা দুজনেই কিপ্টা।
ইমরানঃ আমরা আবার কবে কিপ্টামি করলাম হ্যাঁ।
আর কি কাজে কিপ্টামি করেছি সেটা বল তো শুনি( চেয়ারে বসতে বসতে)
ঈশিতাঃ তোমার মেয়ে বলতেছে বাড়িটা নাকি ভাঙ্গা পাকা করতে।
নুসরাত ঠিক বলেছে এভাবে আর এই বাড়িতে কতদিন থাকবো।
বাড়িটা তো পাকা করতে পারো।
নুসরাতঃ বাবাই বাবাই বাড়িটা ভাঙ্গা পাকা করো না কেনো।
আমরা পাকা বাড়িতে থাকবো।
রিপাঃ এতদিনে কথা বলার একজন হলো তাহলে।
এবার বলো বাড়ি কি এরকম রাখবে না বাড়িটা নতুন করবে।
ইমরানের আব্বাঃ বউমা আমিও চাই বাড়িটা বিল্ডিং করতে।
ইমরানঃ আব্বা বিল্ডিং করতে তো অনেক টাকা লাগে।
ইমরানের আব্বাঃ আল্লাহ কি কম দিয়েছে নাকি।
আমি বেঁচে থাকতেই বাড়িটা টিনসেট বিল্ডিং করবো।
নুসরাতঃ সত্যি দাদু ভাই(চুমু দিলো) তুমি পাকা বাড়ি করে দিবে।
ইমরানের আব্বাঃ আমার দাদু ভাই যখন বলেছে তখন তো বাড়িটা পাকা করতেই হবে আমাকে।
রিপাঃ তাহলে আব্বা আর দেরি কেনো তাহলে কালকেই বাড়িতে ইট নিয়ে আসেন।
এখন সবার আদরের নুসরাত। নুসরাতের কোন কথা কেউ ফেলাতে পারে না।
অনেক পাকা পাকা কথা বলে নুসরাত। নুসরাতের কথা মত ইট নিয়ে আসলো ইমরানের বাবা।
বাড়ির কাজ চলতেছে, নুসরাত কে নিয়ে সারা গ্রাম ঘুড়ে বেড়ান ইমরানের আব্বা।
রিপা তো নুসরাত কে রাতে ছাড়া কাছে পায় না। দিনের খাওয়া দাওয়া সব ঈশিতা করান।
ইমরান নুসরাত কে নিয়ে হাটে বাজারে যায়।
নানা রকম খাবার কিনে দেয়, কাঁধে করে নিয়ে বেড়ান মেয়ে কে।
নুসরাতঃ বাবাই বাবাই আমাকে নতুন নতুন জামা কাপড় কিনে দিতে হবে।
দাদুর জন্য আম্মুর জন্য আন্টির জন্য কিনতে হবে কিন্তু।
ইমরানঃ আমার মা বলেছে আর আমি কি না করতে পারি।
আজকেই আমরা বেড়াতে যাবো বেড়ানো শেষ হলে আসার পথে নিয়ে আসবো কেমন।
নুসরাতঃ কি মজা বাবাইর সাথে ঘুড়তে যাবো।
আমি আম্মু আন্টি কে বলে আসি একসাথে যাবো আমরা।
নুসরাত ছোট ছোট পায়ে দৌড়ে তার আম্মু আর আন্টির কাছে গেলো।
নুসরাত কে দৌড়ে আসা দেখে ঈশিতা দুহাত প্রসারিত করে নুসরাত কে কোলে তুলে নিলো।
ঈশিতাঃ মা টা এমন করে দৌড়াচ্ছে কেনো। মা তুমি আবার হাসতেছো যে।
নুসরাতঃ আন্টি আম্মু বাবাই বলেছে আমাদের নিয়ে ঘুড়তে যাবে
আর আমাকে তোমাকে আম্মু কে নতুন নতুন জামা কাপড় কিনে দিবে।
রিপাঃ সোনা মা তাই, তোমার দাদু কে কিনে দিবে না বুঝি।
নুসরাতঃ দাদু কেও দিবে তো, দাদু তো এখানে নাই তাই দাদুর কথা বলি নাই।
রিপাঃ ওরে আমার পাকনা বুড়ি আম্মু টা রে এত সুন্দর কথা বলতে পারো তুমি।
নুসরাতঃ আমি কথা না সব কাজ করতেও পারবো।
ঈশিতাঃ এখন তোমার কিছু করতে হবে না।
নুসরাতঃ কি হলো এখনও বসে আছো কেনো যাও বের হও তারাতারি যাবো।
নুসরাতের কথা কেউ ফেলাতে পারে না।
তাই রিপা ঈশিতা দুজনে যে যার রুমে গিয়ে তৈরী হয়ে বেড়িয়ে এলো।
সারাদিন তারা অনেক জায়গা ঘুড়েছে।
চিড়িয়াখানা শিশু পার্ক রাজবাড়ী জমিদার বাড়ি সব খানে ঘুড়েছে।
সবাই একসাথে খাওয়া করেছে, কেনাকাটা করেছে।
এভাবে তাদের দিন গুলো যেতে লাগলো।
সবার চোখের মনি হলো নুসরাত,
নানা নানি মামা মামী সবাই এই বাচ্চা মেয়েটাকে খুব ভালোবাসে।
নুসরাতের জন্য তো ইমরান নিজের জীবনটাও দিতে পারে।
কেউ কখনও নুসরাত কে চোখের আড়াল করে না।
তাহলে বুঝেন নুসরাতের জীবন টা কত সুন্দর করে তার পরিবার সাজিয়ে দিতেছিলো
কিন্তু তাকে ইমরান হোক বা রিপা হোক কেনো হ''''''ত্যা করলো????
চলবে...