সাধের সংসার । পর্ব - ০৭


ইমরান এক এক করে এলাকার সবাইকে মিষ্টি খাওয়ালো। 
নিজের চাচা চাচি ভাই ভাবি বন্ধু সবাইকে খাওয়ালো।
মিষ্টি খাওয়াতে গিয়ে চেয়ারম্যান সাহেবের দেখা তাকেও খাওয়ালো মিষ্টি। 
সবাইকে খাওয়ানো শেষে ইমরান বাড়ি ফিরে এলো। 
এসে দেখে এখনও রিপার জ্ঞান ফিরে নাই।
ইমরানঃ ডাক্তার চাচা রিপার যে এখনও জ্ঞান ফিরলো না।
ডাক্তারঃ আরে বাবা এত অধৈর্য্য হচ্ছো কেনো। 
একটু সময় দাও জ্ঞান ফিরবে আর ইনজেকশন তো দিছি।
ইমরানের আব্বাঃ এতক্ষণ লাগে তাই বলে।
ডাক্তারঃ সময় একটু লাগবে, আর শোন এখানে কিছু ঔষুধ লিখে দিলাম। 
যখন যে সমস্যা হবে তখন সেই ঔষুধ গুলো খাইয়ে দিও। 
আর হ্যাঁ এখন থেকে বাড়ির ভারি কাজ গুলো যেনো না করে।
ঈশিতাঃ চাচা আমি তো আছি কোন সমস্যা হবে না।

ডাক্তারঃ আর শোন ভালো ভালো খাবার খাওয়াবে ডিম দুধ এগুলো যেনো প্রতিদিন খায় বুঝলে। 
এতে বাচ্চা আর মা দুজনে সুস্থ থাকবে। 
আর পারলে বেশি বেশি শাক সবজি খাওয়াবে বুঝলে। 
আমি মাঝে মাঝে এসে চেকআপ করে যাবো। 
আর কোন সমস্যা হলে আমাকে ডাক দিও। ইমরানের বাপ এবার তাহলে গেলাম আমি।
ইমরানঃ চাচা এই নিন আপনার ফিস টা।
ডাক্তারঃ আচ্ছা গেলাম। যা যা বললাম সব যেনো মনে থাকে কেমন।
ইমরানের আব্বাঃ আচ্ছা সব মনে থাকবে, 
চলো ডাক্তার ভাই তোমাকে এগিয়ে দিয়ে আসি আমি।
ইমরানের বাবা গেলো ডাক্তার কে এগিয়ে দিতে গেলো। 
ইমরান ঘরে মধ্যে পায়চারি করতে লাগলো। 
ঈশিতা রিপার মাথার কাছে বসে মাথায় হাত বুলিয়ে দিতেছে। 
ইমরানের টেনশন হচ্ছে এতক্ষণ লাগে জ্ঞান ফিরতে।
ঈশিতাঃ দাদা ভাই এভাবে পায়চারি না করে ভাবির বাবার বাড়িতে ফোন করে খুশি সংবাদ টা জানিয়ে দে।

ইমরান দেরি না করে তার বাবার ঘরে গিয়ে বাবার ফোন টা বের করে 
রিপার বাড়িতে খুশি খবর টা জানালো। 
এর মাঝে রিপার জ্ঞান ফিরলে ঈশিতা দৌড়ে এসে ইমরান কে জানালো। 
ইমরান ফোন রেখে তারাতারি তাদের ঘরে এলো। 
ঈশিতা আস্তে করে রিপা শোয়া থেকে তুলে বসালো।
রিপাঃ একি তোমার মুখ এভাবে শুকিয়ে গেছে কেনো। 
এত কিসের চিন্তা করতেছো তুমি।
ঈশিতাঃ তোমার জ্ঞান ফিরতেছিলো না দেখে তো দাদা ভাই এমন অস্তির হয়ে ছিলো।
রিপাঃ আরে আমার কোন হয় নাই তো একটু মাথাটা চক্কর দিয়েছিলো। 
এখন আমি ঠিক আছি, বাকি কাজ গুলো করতে হবে আমাকে।( বিছানা থেকে নামতে ছিলো)
ইমরানঃ আরে আরে নেমো না এখন তোমার কোন করতে হবে না। 
ডাক্তার চাচা কাজ করতে মানা করেছে তোমাকে।
রিপাঃ আরে আমি তো ঠিক, 
আর ডাক্তার চাচা কে কেনো ডেকে ছিলে আমার তো তেমন কিছু হয়নি( অবাক হয়ে)
ঈশিতাঃ আরে ভাবি দাঁড়াও দাঁড়াও তুমি তো জানো না তোমার কত বড় অসুখ হয়েছে। 
এমন অসুখ হয়েছে যে তোমাকে এখন আমাদের সবাইকে দেখতে হবে। 
তোমার নাকি কাজ করা যাবে না।
ঈশিতার কথা শুনে রিপা এবার ভয় পেয়ে গেলো। 
সত্যি কি তার এমন কোন অসুখ হয়েছে যার কারনে তাকে এভাবে শুয়ে বসে থাকতে হবে আর তার কোন কাজ করা যাবে না। 

রিপা কে ভয় পেতে দেখে ঈশিতা মুচকি মুচকি হাসতে লাগলো।
রিপাঃ ঈশিতা তুমি এভাবে হাসতেছো কেনো? 
সত্যি করে বলো না কি হয়েছে আমার। আমার কিন্তু খুব টেনশন হচ্ছে এবার।
ঈশিতাঃ ভাবি আমি ফুফি হবো বুঝলে। এটাই তোমার বর্তমান অসুখ।
রিপাঃ তুমি ফুফি হবে এটা আবার আমার কেমন অসুখ। (হঠাৎ বলে ফেললো)
পরে যখন রিপা বুঝতে পারলো তখন লজ্জায় দুহাত দিয়ে মুখটা ঢেকে ধরলো।
ঈশিতাঃ কি ভাবি বুঝলে তো এবার তোমার কি অসুখ হয়েছে। 
এবার থেকে তোমার দায়িত্ব কিন্তু আরো বেড়ে গেলো
রিপাঃ তোমার দাদা ভাইয়ের কি মন খারাপ কোন কথা বলতেছে না যে?
ঈশিতাঃ আরে ভাবি দাদা ভাই তো পুরা এলাকার মানুষ কে মিষ্টি খাওয়ালো। আর তোমার জ্ঞান ফিরতেছিলো না দেখে নিজেই তো দেখলে।
ইমরানঃ নে হইছে এবার বাইরে যা তুই, বাকি কাজ গুলো কর। 
আমি তোর ভাবির সাথে একটু কথা বলি।
রিপাঃ আহা থাক না ও থাকলে সমস্যা কি আমি সব কাজ করতে পারবো।
ঈশিতাঃ ভাবি তোমরা বরং কথা বলো আমি গেলাম। 
ডাক্তার চাচা কাজ করতে মানা করেছে তোমাকে।(বাইরে গেলো)
ইমরানঃ জানো কত টেনশন হচ্ছিল আমার।
রিপাঃ আমি বুঝি মরে যেতাম।
ইমরানঃ কি সব কথা বলো তুমি।

তুমি তো এখন আমার নিত্য দিনের অভ্যাস হয়ে গেছো। 
তোমাকে ছাড়া কি আমি বাঁচবো বলো।
রিপাঃ বাচ্চার বাবা হলে ঠিকই তখন আমাকে ভুলে যাবে।
ইমরানঃ তোমাকে ভুলে যাবার প্রশ্নই উঠে না। 
বাচ্চার বাবা হলে কি তোমাকে ভুলে যাবো। 
আর আমিও তো বলতে পারি বাচ্চার মা হলে আমাকে ভুলে যাবে।
রিপাঃ দেখো আমাদের দুজনের অস্তিত্ব এখানে( ইমরানের হাত পেঠে রেখে)
ইমরানঃ এখন থেকে আমাদের দুজনের ভালোবাসা এই বাবুটা পাবে( হাত রেখেই)
রিপাঃ আচ্ছা সরো আমি বাইরে যাই কাজ করি একটু।
ইমরানঃ এই অবস্থায় তো মানা করেছে।
রিপাঃ আরে এখন না সময় আছে, এখন ঠিক আছি আমি। 
পরে যখন পারবো না বলবো আর সবাই তো আছো।
ইমরান আর রিপা কে বাঁধা করতে পারলো না। 
রিপা উঠে গিয়ে বাড়ির বাকি কাজ গুলো করতে লাগলো। 
এভাবে দিন চলতেছে তাদের, ঈশিতা রিপার প্রতিটা কাজে সাহায্য করে।
বর্তমানের রিপার ৬ মাস চলতেছে, তাই রিপা এখন তেমন ভারি কাজ করতে পারে না। 
রিপার কাজ গুলো ঈশিতা করে দেয়। তবুও রিপা শ্বশুর স্বামী ননদ সবার দিক খেয়াল রাখেন।
বিছানায় শুয়ে রাতে

ইমরানঃ তোমার খুব কষ্ট হচ্ছে এখন তাই না।
রিপাঃ কি যে বলো না তুমি, তবে একটু কষ্ট তো হবেই। 
মা হওয়া টা যে কতটা খুশির তোমাকে বুঝাতে পারবো না। 
আমার জন্য তোমারও কষ্ট হচ্ছে তাই না।
ইমরানঃ আরে না কষ্ট কেনো হবে।
তবে তোমাকে এরকম দেখতে মোটেও ভালো লাগে না।
রিপাঃ আমি আবার কি রকম হলাম( অবাক হয়ে)
ইমরানঃ এই যে কেমন শুকনো শুকনো থাকো তুমি।
রিপাঃ এই সময় গুলোতে এমন দেখাবে বুঝলে।
ইমরান রাতেই রিপার মাথায় তেল দিয়ে দিলো। 
চুল গুলো সুন্দর করে বেনি করে দিলো।
এখন রিপার সব দিক খেয়াল রাখে ইমরান। 
ইমরানের পাশাপাশি ঈশিতাও রিপার কাজ করে দেয় সেবা যত্ন করে। 
রিপা যা যা খেতে চায় সব কিছু ইমরান এনে দেয়। 
রিপার যা যা করা লাগে সব কিছু করে দেয় ঈশিতা।
ডেলিভারির সময় এসে গেছে এখন ইমরান কে খুব চিন্তিত লাগে।
রিপাঃ এরকম মন মরা হয়ে আছো কেনো তুমি। 

তোমাকে এরকম ভাবে দেখতে আমার মোটেও ভালো লাগে না।
ইমরানঃ আমার না খুব খারাপ লাগতেছে আর ভয় করতেছে বউ।
রিপাঃ আমার কিছুই হবে না, তুমি এভাবে পাশে থেকো শুধু।
ইমরানঃ আমি আর বাচ্চা নিতে চাই না এটাই শেষ। 
তোমাকে হারাতে পারবো না আমি। তুমি না থাকলে আমিও থাকতে পারবো না।
রিপাঃ ওরে আমার বোকা বর টা রে, এত আর টেনশন করা লাগবে না। 
আমার কিছুই হবে না, দেখবে সব ঠিক আছে।
ইমরানঃ না কিছুই ঠিক নাই। 
আমার খুব কাঁন্না পাচ্ছে তোমাকে এভাবে এত কষ্টে থাকতে দেখতে আমার একটুও ভালো লাগতেছে না।
রিপাঃ এই দেখো আমার বরটা আবার কাঁন্না করে। 
আমি তো এরকম থাকবো না, আমাদের সন্তান টা পৃথিবীর আলো দেখলে আমি এমনি ঠিক হবো।
ইমরানঃ তোমার খুব খারাপ লাগতেছে তাই না।
রিপাঃ এসময় সবারি এরকম হয়। ওটা কোন ব্যপার না। 
আমাদের সন্তান টা ভালো ভালো হলেই হয়।
ইমরানঃ তোমার হাত পা গুলো একটু টিপে দিবো।
রিপাঃ না না লাগবে না, এখন এরকম ব্যথা করে একটু।

ইমরানঃ তুমি শুয়ে থাকো আমি হাত পা টিপে দেই।
ইমরানের কান্ড দেখে রিপার একটু হাসি পায় বটে। 
ইমরান তাকে কত পাগলের মত ভালোবাসে। কোন কিছু চাওয়ার আগেই এনে দেয়, 
কোন কিছু বলার আগেই সব করে দেয়। 
সত্যি রিপাও খুব ভাগ্যবতি এমন একজন কে সে স্বামী হিসাবে পেয়েছে। 
রিপার হাত পা সরিষার তেল দিয়ে সুন্দর করে মালিস করে দিলো। 
তারপর রিপার কপালে পেইন কিলার মলম সুন্দর করে দিয়ে আস্তে আস্তে টিপে দিলো। 
রিপার প্রত্যেক টা দিক ইমরান খেয়াল রাখে। 
ইমরানও দায়িত্ব নেওয়া শিখে গেছে।
আজ রিপার খুব ব্যথা উঠেছে, 
ইমরানের আব্বা ওই পাড়ার একজন মহিলা কে ডেকে নিয়ে এসেছে। 
রিপার ব্যথার কারনে খুব চিৎকার করতেছে।
ইমরানঃ আব্বা রিপার কোন হবে না তো আমার খুব খারাপ লাগতেছে। 
আব্বা রিপা ঠিক আছে তো।
ইমরানের আব্বাঃ কোন হবে না বাবা তুই আল্লাহ কে ডাক।
ইমরানঃ আব্বা রিপা কে নিয়ে কি হাসপাতালে যাবো আমি। 
এভাবে ওর চিৎকার আর কাঁন্না সহ্য হচ্ছে না।

ঈশিতাঃ আব্বা দাদা ভাই ঠিক বলেছে, ভাবি কে নিয়ে বরং হাসপাতালে যাই।
ইমরানের আব্বাঃ হাসপাতাল যাওয়ার আগে ইমরান তোর ডাক্তার চাচা কে খবর দিয়ে ডেকে নিয়ে আয়।
ইমরান আর এক মুহুর্ত দেরি না করে সাইকেল নিয়ে বাজারে গেলো। 
ডাক্তার চাচা কে বলার সাথে সাথে তিনি মটর সাইকেল করে সোজা ইমরানদের বাড়িতে চলে আসলো।
ইমরানের আব্বাঃ ডাক্তার ভাই সেই সকাল থেকে বউমার ব্যথা উঠেছে ওই পাড়ার আপা কে ডেকে আনছি তিনি তো সব পারেন।
ডাক্তারঃ আরে ভাই আপনি আমাকে আগে খবর দিবেন না। 
ঈশিতা মা তুমি আমার সাথে ভিতরে আসো তো।
ডাক্তারের কথা মত ঈশিতা ভিতরে গেলো। 
ডাক্তার প্রথমে একটা স্যালাইন লাগিয়ে দিলো তারপর একটা ইনজেকশন দিয়ে বাহিরে আসলো। 
ইমরান এখনও বাড়ি আসে নাই, সাইকেলে আসতে তো সময় লাগবে।
ইমরানের আব্বাঃ কি ডাক্তার ভাই তুমি যে বাহিরে আসলে।
ডাক্তারঃ ইমরানের বাবা একটু অপেক্ষা করো আর টেনশন করতে হবে না।
কিছুক্ষণ পরেই একটা বাচ্চার কাঁন্না সবার কানে এসে পৌঁছালো। 
সেই মুহূর্তে ইমরানও বাড়ি ঢুকেছে। 
ইমরানের আব্বা খুশিতে ডাক্তার কে জরিয়ে ধরলো। 
ইমরানও দৌড়ে তাদের কাছে চলে আসলো।

ইমরানঃ আব্বা কি হয়েছে এভাবে ডাক্তার চাচা কে জরিয়ে ধরে আছো কেনো।
ডাক্তারঃ আরে বেটা শুনতে পাচ্ছিস না কে কাঁন্না করতেছে?(হেসে)
ইমরানঃ আসলেই তো কে কাঁন্না করতেছে আব্বা।
ইমরানের আব্বাঃ আরে তোর সন্তান হয়েছে তুই বাবা হয়েছিস আমি দাদা হয়েছি(হেসে)
এরমাঝে ঈশিতা একটা কাপড়ে জরিয়ে পুচকি একটা বাচ্চা নিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে আসলো। 
এসেই ইমরানের কোলে বাচ্চা টা কে দিলো।
ঈশিতাঃ দাদা ভাই তুই বাবা হয়েছিস আমি ফুফি হয়েছি। 
দেখ তোর কত সুন্দর একটা মেয়ে হয়েছে। আজ থেকে তো আমি এই পুচকি কে মা বলে ডাকবো। 
এখন সবাইকে বলবো এই টা আমাদের মা। 
কে বলেছে আমাদের দু ভাই বোনের মা নেই এই তো আল্লাহ আমাদের কে মা দিয়েছে।
ইমরান বাচ্চা কোলে নেওয়ার পর যখন ঈশিতা এসব বললো তখনই ইমরান কেঁদে ফেলেছে। সত্যি তো আল্লাহ তাদের মেয়ে না মা দিয়েছে।
ঈশিতাঃ কি রে দাদা ভাই তুই কি কাঁন্না করবি নাকি।
ইমরানঃ না রে বোন এটা আমার খুশির কাঁন্না। আজ থেকে আমিও মা বলে ডাকবো একে। আব্বা দেখো কত সুন্দর চাঁদের মত তোমার নাতনী হয়েছে।
ডাক্তারঃ আরে বেটা এভাবে কাঁন্না না করে যা গিয়ে মিষ্টি নিয়ে আয়।

ইমরানঃ আমি যাচ্ছি চাচা, আব্বা ধরো তোমার নাতনী কে। আর ঈশিতা তোর ভাবি কেমন আছে রে।
ঈশিতাঃ ভাবি ঠিক আছে দাদা ভাই ভাবি কে নিয়ে চিন্তা করতে হবে না তোমার।
ইমরানঃ আমি মিষ্টি আনতে গেলাম আজকেও সবাইকে মিষ্টি খাওয়াবো। 
ঈশিতা তোর ভাবির বাড়িতে ফোন করে খুশির খবর টা জানিয়ে দিস।
ইমরান আবারো বাজারের উদ্দেশ্য সাইকেল নিয়ে বের হলো। 
যেতে যেতে গ্রামের সবাইকে বলতেছে আমি বাপ হইছি সবাইকে আজ আমি মিষ্টি খাওয়াবো। 
ইমরানের এসব কাহিনি দেখে সবাই হাসাহাসি করে। 
আসলেই ছেলেটার মত এত পোলা এই গ্রামে আর একটাও নাই। 
গ্রামের সব মানুষের সাথে কত সরল মনে মিশে মানুষের কাজ করে দেয়, 
মানুষের কত উপকারে লাগে তা আর বলতে হয়। 
কাউকে কখনও কোন বিষয়ে হিংসে করে না। 
বাজারে গিয়ে চেয়ারম্যান চাচা আর মেম্বারের সাথে দেখা।
চেয়ারম্যানঃ আরে বাবা ইমরান আজকেও দেখি অনেক গুলি মিষ্টি তোমার হাতে ঘটনা কি?
ইমরানঃ আসসালামু আলাইকুম চাচা, আগে হা করেন তো( একটা মিষ্টি মুখে দিলো)
চেয়ারম্যানঃ ওয়ালাইকুম আসসালাম। তা বাবা বললে না তো কিসের মিষ্টি খাওয়ালে আমাকে।
ইমরানঃ চাচা আপনি দাদা হইছেন আপনার নাতনী হইছি।

চেয়ারম্যানঃ আলহামদুলিল্লাহ যাক বাবা তাহলে আল্লাহ তোমাকে একটা জান্নাত দিলো তাহলে। 
শোন বাবা সন্তান আর তার মায়ের সব দিক খেয়াল রাখবা। 
তাদের যেনো কোন সেবা যত্নে কমতি না থাকে। 
শোন বাবা ইমরান তোমার আব্বা কে একবার আমার সাথে দেখা করতে বইলো।
ইমরানঃ চাচা আমি গেলাম দোয়া করবেন। 
গ্রামের সব মানুষরে আজ কে আমি নিজ হাতে মিষ্টি খাওয়াবো।(বলেই চলে গেলো)
মেম্বারঃ বুঝলেন চেয়ারম্যান সাহেব ইমরান ছেলে টাকে যতই দেখি ততই মুগ্ধ হই। 
এরা দু ভাই বোন এত ভালো কি আর বলবো। 
কোনদিন মানুষের কোন ক্ষতি করে নাই বরং মানুষের উপকার করেছে।
চেয়ারম্যানঃ মা হারা সন্তান ওরা,
ওদের বাপ মানে ইমরান ঈশিতার বাপ সন্তানের জন্য কি না করেছে। 
নিজ হাতে মানুষ করেছে, সন্তান দুটো কে ন্যায় নীতির শিক্ষা দিয়েছে। 
পরিবারের কর্তাই হলো আসল বুঝলে মেম্বার। 

তুমি তোমার সন্তান কে যেমন শিক্ষা দিবা তেমন হবে আমি আমার সন্তান কে যেমন শিক্ষা দিবো
 তেমন হবে। তবে ওদের জন্য দোয়া করি আল্লাহ যেনো সারাজীবন ওদের কে সুখে রাখে। 
ওদের মত ভালো ছেলে মেয়ে গ্রামে বা আর কয়টা আছে।
মেম্বার আর চেয়ারম্যান ইমরান আর তার পরিবার নিয়ে অনেক বললো। 
একটাও খারাপ কথা তারা বলে নাই, তারা যা বলেছে সব সত্যি বলেছে।
ইমরান আর তার পরিবার কখনও কারো সাথে অন্যায় করে নাই। 
শুধু মেম্বার চেয়ারম্যান কেনো পুরা গ্রামের সবাই ইমরান ঈশিতা কে অনেক ভালোবাসে।
এবার আসল খেলা জমবে সবাই বুঝবেন ঘটনা কি হচ্ছে

চলবে...

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url