সাধের সংসার । পর্ব - ০৫


রিপা রান্না ঘরে ঢুকে দেখে ঈশিতা আগেই রান্না করে এসে রান্নার কাজ শুরু করে দিয়েছি। 
রিপাও এগিয়ে গেলো ঈশিতার কাছে। 
রিপা বুঝে উঠতে পারে না ঈশিতা ছোট্ট মানুষ কেমন করে এত কিছু করে। 
ঈশিতা রান্না ঘরে রিপা দেখে
ঈশিতাঃ ভাবি আর একটু সময় দাও সবার নাস্তা তৈরি করে আমি দিয়ে আসতেছি।
রিপাঃ আরে সেটা না, 
আমি রান্না করার জন্য আসলাম রান্না ঘরে আর তুমি এর মাঝে সব করে ফেলেছো।
ঈশিতাঃ ভাবি তুমি নতুন মানুষ তুমি কেনো রান্না করবে। 
তাছাড়া প্রতিদিন আমি তো সব করি। 
যাও ঘরে যাও আমি নাস্তা নিয়ে আসতেছি আর একটু খালি বাকি।
রিপাঃ নতুন বলে রান্না ঘরে রান্না করতে দিবে না আদরের ননদীনি। 
আর কিছু দিন পর করবো তাই তো। 
কিন্তু সেটা হবে না, এখন থেকে সবার দেখাশুনা করার জন্য আমি আছি বুঝলে।
ঈশিতাঃ আ হা ভাবি যাও তো তুমি করতেছি।
রিপাঃ এত কথা বলো না, 
আজ হোক আর কিছুদিন পর হোক আমাকে তো সব করতেই হবে নাকি। 
দেখি আর কি কি করা বাকি আছে।

ঈশিতাঃ ভাবি তুমিও না।
রিপাঃ আমি যা হই, হই তাতে তোমার কোন সমস্যা।
ঈশিতাঃ না ভাবি কোন সমস্যা নাই।
রিপাঃ আমার সমস্যা আছে, আর সেটা হলো যখন সময় পাবে আমাকে সাহায্য করবে কেমন।
ঈশিতাঃ আচ্ছা আমার লক্ষি ভাবি তাই হবে। আসো হাত চালাও।
তারপর দুই ভাবি ননদ দুজনে সকালের নাস্তা তৈরি করতে লেগে গেলো। 
দুজনের হাসি ঠাট্টা করতে করতে কাজ করতেছে। 
এর মাঝে বাড়ি এবং বাড়ির লোকের অন্য বিষয় রিপা যেনে নিতেছে। 
নাস্তা বানানো শেষ হলে রিপা ঈশিতা কে ফ্রেশ হওয়ার জন্য বলল 
এবং সবাই কে ডেকে নাস্তার টেবিলে বারান্দায় বসতে বললো। 
ঈশিতা ফ্রেশ হতে গেলো এই ফাঁকে রিপা নাস্তা টেবিলে সাজাতে লাগলো। 
তারপর সবাই এক এক করে নাস্তার টেবিলে এসে বসলো।
ইমরানের আব্বাঃ ঈশিতা কালকে না তোকে বললাম সকালে উঠে 
সবার জন্য নাস্তা বানাতে।

রিপাঃ আব্বা ঈশিতাই সব করেছে, আমি উঠে একটু সাহায্য করেছি।
ইমরানের আব্বাঃ তুমি নতুন মানুষ বউমা আর তুমি কেনো রান্না ঘরে গেছো। 
কি রে ঈশিতা তোকে না বলেছি আমি।
ঈশিতাঃ আব্বা ভাবি কে বলেছি শুনে নাই। 
ভাবি বলেছে আজ হোক আর কিছুদিন পর হোক তাকে তো সব করতেই হবে।
রিপাঃ আব্বা শুধু শুধু রাগ হচ্ছেন, আমি কি আপনার মেয়ে না। 
আর বাড়ির বড় মেয়ে থাকতে কেনো ছোট্ট মেয়ে কাজ করবে। 
আর হ্যাঁ বাড়ি ছোট মেয়ে যখন সময় পাবে তখন আমার কাজে সাহায্য করবে। 
এখন ঈশিতার পড়াশোনা করার দায়িত্ব সে এখন পড়বে।
ইমরানের আব্বাঃ তবুও বউমা তুমি নতুন মানুষ হয়ে আজই সব করবে।
রিপাঃ আব্বা আপনি চুপ করে নাস্তা করেন তো। 
এখন থেকে এই বাড়ি আমার নিয়মে চলবে আপনাদের আর কোন কথা চলবে না।
ইমরানঃ আব্বা রিপা যখন সব নিজ হাতে সামলে নিতে চাচ্ছে তখন রিপা কে আর বাঁধা দিও না। 
আমরা বাবা ছেলে না হয় কাজ করবো আর বাড়ি টা দেখে রাখবে রিপা।

রিপাঃ হ্যাঁ আব্বা আপনার ছেলে ঠিক বলেছে। 
আর হ্যাঁ ঈশিতা তো এখন ক্লাস ৮ এ পড়ে তাই না। আজ থেকে ঈশিতার প্রাইভেট পড়া বন্ধ।
ঈশিতাঃ ভাবি প্রাইভেট বন্ধ হলে আমি তো পরিক্ষায় ফেল করবো।
রিপাঃ অত চিন্তা করতে হবে না তোমার। 
এখন থেকে রোজ তুমি আমার কাছেই পড়বে বুঝলে। 
তাহলে দিনের অনেকটা সময় আমরা দুজন বাড়িতে থাকতেও পারবো 
আর তোমাকে পড়াতেও পারবো।
ইমরানের আব্বাঃ সত্যি বউমা তুমি অনেক লক্ষি একটা মেয়ে। 
আজ মনে হচ্ছে সংসার টা আমার পরিপূর্ণ হলো এটাই বুঝি আমার সাধের সংসার।
ইমরানঃ আব্বা ঠিক বলেছো, ঠিক এমন একজন আমাদের সংসারে দরকার ছিলো।
রিপাঃ এতদিন যা হওয়ার হয়ে গেছে এখন থেকে এই সংসার আবারো সুন্দর গোছানো ভাবে চলবে। 
আর এত কথা বলতে হবে না সবাই আগে নাস্তা শেষ করি তারপর ভাত বসাতে হবে 
আরো কাজ বাকি আছে।

সবাই এবার হাসি মুখে নাস্তা করতে থাকলো। এমন একটা সংসার তো সবাই খুঁজে। 
সবার নাস্তা করা শেষ হলে এটো থালা বাসন নিয়ে ঈশিতা টিউবওয়েলে গেলো। 
রিপা গেলো গোয়াল ঘর পরিস্কার করার জন্য। 
আঙিনা ঝাড়ু দেওয়া গরু কে খাবার দেওয়া সব করে হাত মুখ ধুয়ে ঘরে গেলো।
ইমরানঃ সত্যি আমি ভাগ্যবান পুরুষ তোমার মত একটা বউ পেয়ে। 
তুমি পাশে থাকলে ইনশাআল্লাহ সব বিপদ উতড়ে যাবো আমি। 
তুমি পাশে থাকলে সব কিছু সুন্দর করে সাজাতে পারবো।
রিপাঃ একটু ভালোবাসা আদর যত্ন দিও তুমি। এর থেকে বেশি কিছু আমিও চাই না।
ইমরানঃ তুমি পাশে থেকে আমার হাত টা শক্ত করে ধরে রাখলে সব করতে পারবো। 
তোমাকে এভাবে সারাজীবন ভালোবেসে যাবো আমি।

ইমরান রিপা কে টেনে বুকে জরিয়ে নিলো। রিপাও ইমরানের বুকে মাথা রাখলো। 
একটা মেয়ে তো এমন একজন কে চায় যার বুকে সে মাথা রেখে শান্তির নিঃশ্বাস ফেলবে। 
ইমরান এবার রিপার মাথা তুলে তার মুখ আর রিপার মুখ কাছাকাছি আনতেই বাহিরে ডাক আসলো
ঈশিতাঃ ভাবি রান্না বসাবে না, আমার তো সব কাজ শেষ। 
আর ভাইয়া আব্বা একটু তোকে ঐ পশ্চিম দিকে জমিতে যেতে বললো।
ঈশিতার ডাক শুনে ইমরান আর রিপা দুজন দুজনের থেকে দূরে সরে গেলো। 
ইমরান বেচারা কৈ একটু বউকে আদর করবে তা না 
ওমনি তার ছোট বোন ডাক দিয়ে জমিতে যেতে বললো। 
রিপা ইমরানের মুখ দেখে ব্যপার টা বুঝতে পেরে মুচকি মুচকি হাসতে লাগলো। 
ইমরানের জন্য রিপার একটু মায়া হচ্ছে
রিপাঃ আহা রে আমার স্বামী টা একটু আদর করতে চাইলো 
কিন্তু আদরের নননদীনি টা সেটা হতে দিলো না( হেসে ফেললো)
ইমরানঃ এই ঈশিতাটাও আর সময় পেলো না। তোমার তো হাসি আসবেই হাসো।
রিপাঃ আমার বর বুঝি রাগ করেছে। কেনো রাতে আদর করে বুঝি তার মন ভরে নাই।
ইমরানঃ আদর করে যদি মন ভরা যেতো তাহলে তো কথাই ছিলো না।
রিপাঃ এবার যাও তুমি আমি রান্না করতে করতে যাই( হাটা দিলো)
ইমরানঃ ( টেনে ধরে) এই কই যাও একটু করে করে যাও না। 
সারাদিন তো আর কাছে পাবো না তোমাকে।

রিপাঃ হুম উহু হবে না, যা হবার রাতে হবে। সব কিছু রাতের জন্য তোলা থাক।
ইমরান মন ভারি করে যেই না ঘরের বাহিরে পা রাখতে যাবে 
অমনি রিপা ইমরান কাছে টেনে ৪ ঠোঁট এক দিলো। 
আচমকা এমন হওয়াতে ইমরান একটু ভ্যাবাচেকা খেলো, 
পরে ব্যপার টা বুঝতে পেরে ইমরানও কি যায়। 
অনেকক্ষণ পর দুজন দুজন কে ছেড়ে দিয়ে হাঁপাতে লাগলো।
ইমরানঃ বিয়েতে যে এত মজা, যদি আগে জানতাম তাহলে সেই কবেই বিয়ে করে নিতাম।
রিপাঃ এমন আদর তো প্রতিদিন দিতে পারি যদি আমাকে ভালোবাসা দাও 
আর ঠিকমত কাজকর্ম করো।
ইমরানঃ তোমাকে ছেড়ে তো আমার এখন আর কাজে যেতে মন চাচ্ছে না। 
ওই চলো না রাতের মত ফুটবল ভলিবল লুডু খেলি।
রিপাঃ এইইই একদম না এখন, 
অনেক হয়েছে আদর সব আদর একদিনে খেতে নেই পেঠে সমস্যা হবে।
ইমরানঃ হোক না সমস্যা তাতে কি। আসো না ফুটবল ভলিবল লুডু খেলি।
রিপাঃ ধ্যাত তুমিও না, এখন এসব হবে না বর বাবু। 
এবার যাও তো কাজে রাতে দেখা যাবে কি করা যায়।
রিপা জোর করে ইমরান কে ঘরের বাহিরে পাঠিয়ে দিয়ে। 

নিজে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ঠিক হয়ে বাইরে বের হয়ে আসলো। 
এসে রান্না ঘরে গেলো, গিয়ে দেখে ঈশিতা ভাত বসিয়ে দিয়েছে।
ঈশিতাঃ আসো ভাবি বসো, নাও এবার এই তরকারি গুলো কাটো।
রিপাঃ দেরি হয়ে গেলো বুঝি আজকে তাই না।
ঈশিতাঃ কি যে বলো না ভাবি তুমি কিসের দেরি হবে।
তারা রান্না করতে লাগলো। 
রান্না করা শেষ হলে রিপা ঈশিতা কে ফ্রেশ হয়ে এসে আগে খেতে বললো। 
রিপা কথা শুনে ঈশিতা ফ্রেশ হয়ে খেয়ে স্কুল ড্রেস পড়ে স্কুলে রওনা হলো। 
ঈশিতা চলে যাবার পর রিপা আবারো গরুকে ছাগল তে খেতে দিলো। 
বাড়ির চারপাশ টা এই ফাঁকে পরিস্কার করে নিও। 
১০ টার পর ইমরান আর তার বাবা বাড়ি ফিরে আসলো।
বাড়ি এসে তারা হাত মুখ ভালো করে ধুয়ে মেঝেতে মাধুর পেতে বসলো। 
রিপা ভাত তরকারি সব এনে তাদের খেতে দিলো।
ইমরানের আব্বাঃ বউমা আমরা খাবো আর তুমি না খেয়ে বসে থাকবে তা হবে না। 
আমাদের সাথে তুমিও বসো যাও।
রিপাঃ আব্বা আপনারা আগে খানতো পরে খাচ্ছি আমি।
ইমরানঃ পরে কেনো খাবে এখন তুমিও আমাদের সাথে খাবে। 
যাও প্লেট নিয়ে এসে তুমিও বসো।
রিপা ইমরান আর তার বাবার কথা ফেলাতে পারলো না। 
রিপাও প্লেট নিয়ে খেতে বসলো।

ইমরানের আব্বাঃ বুঝলি ইমরান, বউমা কিন্তু তরকারি সেই রান্না করে।
ইমরানঃ হ্যাঁ আব্বা সত্যি রিপার হাতে যাদু আছে। 
এই জন্য তো ঈশিতা বার বার ভাবি ভাবি করে আমাকে জোর করে বিয়ে দেওয়ালো।
ইমরানের আব্বাঃ ওহ হ্যাঁ তা বউমা ঈশিতা কি খেয়ে স্কুলে গেছে।
রিপাঃ হ্যাঁ আব্বা গেছে, আর গরু ছাগল কেও খেতে দিছি।
ইমরানঃ দেখলে না আব্বা বাড়ি ঢুকার আগে ঈশিতা সব কিছু কত সুন্দর করে গুছিয়ে রেখেছে।
এভাবেই দিনের পর দিন যেতে লাগলো। 
মাঝে মাঝে ইমরান রিপা কে নিয়ে তাদের বাড়ি বেড়াতে যায়।
রিপার মা বাবা ভাই বোন ভাবি বেড়াতে আসে। 
রিপার মা বাবাও খুশি তাদের মেয়ে এখানে এসে সুখেই আছে 
আর নিজ হাতে সংসার সাজিয়ে নিতেছে। 
ইমরান ঈশিতা আর তার বাবা এখন ভালোই সুখে আছে। 
তাদের বাড়িতে এখন আর কোন কিছু করতে সমস্যা হয় না।
 দিন দিন তাদের সাংসারিক উন্নতি হচ্ছে, কিন্তু তারপরও কোথায় জানি একটু ঘারতি আছে।
ইমরানের আব্বাঃ তা বউ মা সব কিছু তো ঠিকই চলতেছে। 
আমি দাদা কবে হবো, বাড়িতে তো একটা নতুন মেহমান দরকার।
রিপা শ্বশুড়ের কথা শুনে একটু লজ্জা পেলো বটে। 

রিপাও চায় তাদের একটা সন্তান হোক আর তার শ্বশুর তাদের সন্তানের সাথে খেলা করুক।
রিপাঃ আব্বা আল্লাহ চাইলে সব হবে। আমিও চাই একজন নতুন মেহমান ঘরে আসুক।
ইমরানের আব্বাঃ বউমা ঐ দূরের জমিতে গেলাম ইমরানও সেখানে আছে। 
আজ দুপুরে খেতে আসতে পারবো না, তুমি আর ঈশিতা খেয়ে নিও।
রিপাঃ আব্বা আপনি যান আমি আর ঈশিতা সময় মত খাবার নিয়ে যাবো।
ইমরানের আব্বাঃ না বউমা যেতে হবে না। আমরা পরে এসে খেয়ে নিবো।
এই বলে ইমরানের আব্বা জমিতে গেলো। এবার অবশ্য ধান ভালোই হয়েছে। 
ধান তুলে এবার বাকি জমি গুলোতে আলু আর তামাক লাগাবে। 
এবং অন্য জমি গুলো পটল আর ভুট্টা লাগাবে হাতে এখনও অনেক সময় আছে 
তাছাড়া এখনও পুরাপুরি শীত আসে নাই। 
ঈশিতাও স্কুল থেকে বাড়ি ফিরলো, রান্না করে অবশ্য এতক্ষণ ঈশিতার অপেক্ষায় ছিলো রিপা।
ঈশিতাঃ ভাবি খেতে দাও প্রচুর খিদে পেয়েছে।
রিপাঃ ঈশিতা দূরের ঐ জমিতে আব্বা আর তোমার দাদা ভাই গেছে। 
আজকে নাকি ফিরতে দেরি হবে তাই খেতে আসে নাই। 
আমিও তো চিনি না চলো না দুজনে তাদের জন্য ভাত নিয়ে যাই।
ঈশিতাঃ ভাবি তোমাকে যেতে হবে না আমি নিয়ে যাচ্ছি।
রিপাঃ আগে ড্রেস পাল্টিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসো দুজনে একসাথে যাবো। 
তোমার দাদা ভাই কে ছাড়া কখনও একা একা খেয়েছি। 
আজ না হয় জমি আলে বসে সবাই একসাথে খাবো।

ঈশিতাঃ দাঁড়াও ভাবি আমি এক্ষুনি আসতেছি।
ঈশিতা দ্রুত ঘরে ঢুকে স্কুল ড্রেস পাল্টিয়ে বাহিরে এলো৷ 
রিপাও এর মাঝে বড় গামলাতে ভাত সাজিয়ে জগে পানি নিয়ে রেডি। 
তারপর ননদ ভাবি দুজনে তাদের বাবা ভাই/স্বামীর কাছে যেতে লাগলো। 
আসতে বেশ সময় লাগলো বটে।
দুর থেকে ইমরান দেখতে পেলো, 
রিপা মাথায় কি যেনো নিয়ে আসতেছে। 
আর তার সাথে সাথে ঈশিতাও হাতে কি যেনো আনতেছে। 
যখন কাছাকাছি আসলো তখন বুঝতে পারলো। 
তারা দুজন খাবার নিয়ে এসেছে।
ইমরানের আব্বাঃ বউমা তোমাকে না মানা করলাম এত দূরে খাবার নিয়ে না আসার জন্য
রিপাঃ আব্বা আমি কি কখনও আপনাদের ছেড়ে এতা একা খেয়েছি। 
আর সারাদিন তো কোন না খেয়ে এখানে কাজ করতেছেন। 
এভাবে না খেয়ে কাজ করলে তো অসুস্থ হয়ে পড়বেন।
ইমরানঃ আব্বা রিপা ঠিক বলেছে, তাছাড়া সত্যি তো খিদে পেয়েছে। 
এখন এত সব কথা না বলে চলো তো খেয়ে নেই।
ঈশিতাঃ আব্বা দাদা ভাই আমিও কিন্তু খাই নাই ভাবিও খায় নাই। 
তাই আজ চারজনে এই জমির আলে বসে খাবো।
ইমরানঃ এটা কোন কথা হলো তোমরা খাও নাই। আর এখানে বসে খাবে।
রিপাঃ কোনদিন তো আর আমাকে নিয়ে বাইরে ঘুরতে যাও না। 

আর বাইরে নিয়ে তো কোনদিন খাওয়ালে না। তাই দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাচ্ছি।
ইমরানের আব্বাঃ ইমরান সত্যি তুই গাঁধা। ঈশিতা তোকে আর এমন এমনি গাঁধা বলে না। 
কৈ একটু বউমা সহ ঘুরবি খাবি তা না।
ইমরানঃ আব্বা তোমাকে একা একা কাজ করতে দিয়ে বাইরে যাবো।
ইমরানের আব্বাঃ আরে বেটা, এখনও তোর বাপের গায়ে প্রচুর শক্তি আছে। 
তোর বাপ একা একা সব করতে পারবে। 
আর শোন কালকে বউমাকে নিয়ে কোথাও থেকে ঘুরে আসবি।
ঈশিতাঃ আব্বা আমি যাবো না।( মন খারাপ করে)
ইমরানের আব্বাঃ আগে কাল কে ওরা ঘুরে আসুক তারপর তুই যাস।
রিপাঃ আব্বা আপনি আর ঈশিতাও চলেন না কালকে সবাই একসাথে ঘুরে আসি।
ইমরানঃ হ্যাঁ আব্বা চলো সবাই যাই খুব মজা হবে।
ইমরানের আব্বাঃ বেশি কথা বলিস না তুই। 
আগে বউমা সহ ঘুরে আয় তারপর আমরা সবাই যাবো। হাতে আমাদের মেলা সময় আছে।
রিপাঃ আব্বা এখন এসব কথা রেখে খেতে বসুন তো।
রিপা এক এক করে সবাইকে খাবার দিতে লাগলো। 
সবাই আনন্দ সহকারে খেতে লাগলো, 
ইশ এভাবে জমির আলে বসে খেতেও যে মজা হয় সেটা কি আর সবাই জানে। 
চারজনে নানা রকম কথা হাসাহাসি আর মজা করে খাবার খাচ্ছে। 
হ্যাঁ এটাই তো সুখি পরিবার আর কি চাই, এই সুখ সারাজীবন থাক তাদের মাঝে।

চলবে...

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url